২০১০ সালের পর আবারও ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার দৌঁড়ে নেমেছে মরক্কো। ইউক্রেনকে সরিয়ে এবার ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায় তারা। ফিফার ৭৩তম কংগ্রেসের একদিন আগে, বিভিন্ন দেশের ফুটবল ডেলিগেটদের সামনে পর্তুগাল এবং স্পেনের সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপের জন্য বিড করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী ছাকিব বেনমুসা।
একটা যুদ্ধ অনেক কিছু থেকে ছিটকে দিলো ইউক্রেনিয়ানদের। ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ইউরোপে ফিরিয়ে আনতে তোরজোর চলছিলো দীর্ঘদিন ধরেই। যে ধারাবাহিকতায় পর্তুগাল এবং স্পেন কাজ করছিলো যৌথভাবে। কিন্তু তাদের চাওয়া ছিলো আরেকজন সঙ্গী। এতোদিন সে তৃতীয় দেশটা হিসেবে শোনা যাচ্ছিলো ইউক্রেনের নাম।
কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কপাল পুড়ল কিয়েভের। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে আর যাই হোক, ফুটবলের বৈশ্বিক আসর তো আর সম্ভব না। তাই পর্তুগাল-স্পেনের সঙ্গী হলো নতুন আরেক দেশ।
ফিফার ৭৩তম কংগ্রেস হচ্ছে এবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে। তবে, মূল সভা বসবার একদিন আগে আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন প্রেসিডেন্টের অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে ২০৩০ ফিফা আসরের আয়োজক হতে নিজেদের নাম সবার সামনে তুলে ধরলো মরক্কো। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী ছাকিম বেনমুসা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। ২০১০ এ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ হারালেও, এবার আর খালি হাতে ফিরতে চান না তারা।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে সবার নজর কাড়ে আফ্রিকান দেশটি। প্রথম আফ্রিকান মহাদেশীয় টিম হিসেবে তারা খেলে বিশ্ব আসরের সেমিফাইনালে। আয়োজক হিসেবেও সফল তারা। ২০২২ এর ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজক ছিলো মরক্কো।
মরক্কোর ক্রীড়া মন্ত্রী ছাকিব বেনমুসা বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি মরক্কো, পর্তুগাল এবং স্পেনের সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায়। আমরা একসঙ্গে বিড করবো। আমরা আফ্রিকা এবং ইউরোপের ফুটবলকে একসুতোয় গাঁথতে চাই। দুটো মহাদেশের মানুষের সংস্কৃতি পুরো পৃথিবীকে জানাতে চাই। আশা করবো, আমরা সবার সহযোগিতা পাবো।’
বিশ্বকাপের আয়োজক হতে এই ইউরোপিয়ান-আফ্রিকান ট্রায়োকে লড়তে হবে ল্যাটিন জায়ান্টদের সঙ্গে। শতবর্ষী বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায় দক্ষিণ আমেরিকার চারটি দেশ। যেখানে আছে প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং পেরু। আগামী বছর কনফেডারেশনগুলোর উন্মুক্ত ভোটাভুটির পরই নির্ধারিত হবে কাদের ভাগ্যে যাবে ফিফা ২০৩০ গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।