সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ১০৩ পাউন্ডের কেক কাটল বিআরটিসি
নোয়াখালীতে পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে ১০৩ পাউন্ডের কেক কেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন নোয়াখালীর বিআরটিসি সোনাপুর বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
শুক্রবার বিকালে নিজস্ব হলরুমে শতাধিক শিশুদের নিয়ে এ কেক কাটেন বিআরটিসির সোনাপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদী।
কেক খেতে পেরে আনন্দিত শিশু মেহজাবিন, তাহমিদ আহমেদ। তারা বলেন, আমরা কেক কেটেছি, কেক খেয়েছি। আমাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে। এত বড় কেক আমি কখনো দেখিনি। খুব ভাল লাগলো। অনেক খুশী লাগছে।
১০৩ পাউন্ডের কেক কাটায় যুক্ত হয়ে সিএনজিচালক রবিউল আলম বলেন, আমাকে স্যাররা ডেকে নিয়ে আসছেন। আমার নাতিনকে নিয়ে এসেছি। এত বড় কেক খেতে পেরে খুব আনন্দিত। আয়োজকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শান্ত ইসলাম নামের এক পথচারী বলেন, এদিক দিয়ে যাওয়ার পথে দেখলাম কেক কাটা হচ্ছে। আমি অংশগ্রহণ করেছি। নোয়াখালীতে কেউ এত বড় কেক কাটেনি। বিআরটিসি বাস ডিপোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর আয়োজনের জন্য।
বিআরটিসি বাস ডিপোর চালক জয়নাল আবেদীন বলেন, এই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু। তার জন্মদিন উদযাপন করতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের। বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সব ধরনের শ্রমিক ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে আনন্দ করেছি। আমাদের কাছে খুব ভালো লাগলো।
বিআরটিসির সোনাপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদী বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে ১০৩ পাউন্ড কেক কেটেছি। যারা নিজেদের জন্মদিনও কখনো পালন করেনি এবং কখনো এত বড় কেক ও দেখেনি; পুরো কেকটা তারা খেয়েছে এবং আজ তারাই আনন্দ করেছে।
এ সময় সোনাপুর বাস ডিপোর প্রশিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সংবাদ সমিতির মহাসচিব (বাসস) ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান চৌধুরীসহ ডিপোর চালক, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।