সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাকে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। মূলত জুয়াড়িদের ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর আইসিসিকে না জানানোর কারণেই এ শাস্তি পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে টেলরের নিষিদ্ধ হওয়ার দিন গণনা হবে। আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টেলর সংস্থাটির এসিইউ কোড চারবার ভেঙেছেন। তবুও সে এ বিষয়ে কাউকে অবহিত করেনি। পাশাপাশি তিনি নাকি আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে তদন্তের বিষয়ে সাহায্যও করেননি।
এর আগে জিম্বাবুয়ের সাবেক এ অধিনায়ক টুইটারে সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন কীভাবে এমন অন্ধকার জগতের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। রীতিমতো হলিউড সিনেমাকেও হার মানায় টেলরকে জুয়াড়িদের ফাঁদে ফেলার ভয়ানক গল্প। মাদক সেবনের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কীভাবে ভারতীয় জুয়াড়িরা ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার বিবরণ দেন খোদ টেলরই।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতীয় এক ব্যবসায়ী স্পন্সরশিপ আর জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে ডেকে পাঠান। এ ভ্রমণের বিনিময়ে তাকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। পরে ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিটিং চলাকালে প্রত্যেকের মতো সেই রাতে কোকেন সেবন করেছিলেন অনুরোধ রাখতেই। তবে পরদিন সেই ভিডিও দেখিয়েই তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয় এবং স্পট ফিক্সিং করার প্রস্তাব দেওয়া হয় টেলরকে।
টেলর বলেন, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থেই এতদিন মুখ বন্ধ রেখেছিলেন। তবে তিনি নিজেই বলেন, এমন একটা বিষয় তখনই আইসিসিকে জানানো উচিত ছিল। তারা এটা মেনে নেবে না। যদিও তিনি এটাও স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে, আর যাই হোক, বুকিদের প্রস্তাব মতো কখনো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো গর্হিত কাজ করেননি। এছাড়া কোনো রকম ক্রিকেট দুর্নীতির সঙ্গেও জড়াননি।