দেশের স্বার্থে আলোচনায় বসতে রাজি: ইমরান খান
দেশের স্বার্থে যেকারো সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। খবর দ্য ডনের।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পাকিস্তান। পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের জেরে জটিল আকার ধারণ করেছে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
পার্লামেন্টে আস্থাভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন ইমরান খান। একের পর এক জনসভার পাশাপাশি দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে থাকলেও এবার কিছুটা সুর নরম করলেন। সংকট সমাধানে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে কারো সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি। দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধরে রাখতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত বলেও জানান ইমরান খান।
একইদিন সন্ধ্যায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে ইমরান খান বলেন, লন্ডন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইনের কারণে তারা আমাকের গ্রেফতার করতে চায় না। নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে লন্ডন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে জেলে রাখতে চায়।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, আমি দেশের কোনো আইন লঙ্ঘন করিনি। আমরা বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা করা হয়েছে সবগুলোর বিরুদ্ধে আমি লিখিত দিতে রাজি। যদি একটা মামলায় প্রমাণিত হয় আমি কোনো অপরাধ করেছি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
এর আগে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে শাহবাজ শরীফ বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতিবিদদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, তোশাখানা মামলায় শনিবার (১৮ মার্চ) ইমরান খান আদালতে হাজির হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার ইমরান খানের গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।